এক নতুন যুগের সুচনা
'হরি ওম' ধ্বনিতে মুখারিত হয়ে উঠেছিল অনিরুদ্ধ পূর্নিমা (ত্রিপুরারি পূর্নিমা), সেই ধ্বনিতে সামিল ছিলেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ল-ইআর, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ, শুধুমাত্র মুম্বাই থেকেই নয় - তারা এসেছিলেন মুম্বাই সংলগ্ন এলাকা, মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে, এসেছিলেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, সমগ্র বিশ্ব হতে। তারা এসেছিলেন তাদের পরমপ্রিয় সদগুরুর চরণতালে তাদের ভালবাসার অঞ্জলি উপুর করে দিতে।
ডাঃ অনিরুদ্ধ ধারিয়াধার যোশী পেশায় একজন মুম্বাই স্থিত ডাক্তার (এম .ডি)। বাপু বেক্তিগত জীবনে একজন সংসারী মানুষ। তার কথায়, মানুষ সংসারের মধ্যে থেকেও আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারে। আধ্যাত্মিকতার আর্থ বাস্তব পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যাওয়া নয়।
বাপু শ্রাদ্ধাবানদের উদ্দেশ্যে বলেন যে - "আমি তোমাদের বন্ধু। আমি কারুর আবতার নই। আমি অনিরুদ্ধ ছিলাম, আছি, থাকব। আমি একজন সৈনিক - যে যুদ্ধ কৌশল শেখায় তাদেরকে যারা নিজেদের ভাগ্যের সঙ্গে লড়াই করতে ইচ্ছুক।"
তিনি সবসময় বলেন যে - "যদি আমাকে কিছু দিতেই চাও, তাহলে রাম-নামের জপ দাও, রামরক্ষা স্তোত্র জপ দাও। আমি তা আমার দুত্তাগুরুর ব্যাঙ্ক-এ রাখব যা তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় সময় ব্যবহার করতে পারবে।"
তিনি বলেন - "সেবার নিমিত্ত সময় দাও যা তোমাদের পরমেশ্বরের উপাসনা করতে সাহায্য করবে। এই কাজ তোমাদের জীবনের সুকৃতির ভাড়ার সমৃদ্ধ করবে এবং সংকটময় মুহুর্তে এই ভক্তি ও সেবার সুকৃতিই তোমাদেরকে উদ্ধার করবে।"
- ডাঃ যোগীন্দ্র সিনহ যোশীর লেখনি হতে বঙ্গানুবাদ